বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেনঃ
“প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। সারা বিশ্ব করোনা মহামারিতে পর্যদস্ত, তার মাঝেও মানবিক মূল্যবোধের ডাকে সাড়াদানকারী এই আয়োজনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিরাপদ রক্তের গুরুত্ব উপলব্ধি করে ১৯৭২ সালে তৎকালীন পিজি হাসপাতাল, বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের অন্ধত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালে ‘অন্ধত্বমোচন অর্ডিন্যান্স’ জারী করেন। সন্ধানী মানবতার পথ ধরে হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীর জীবন ফিরিয়ে দিতে ২ নভেম্বর ১৯৭৮ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রথম স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে এক ইতিহাস সৃষ্টি করে। বর্তমান সরকার ‘মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করেছে। এর ফলে স্বেচ্ছায় অঙ্গদান ও মৃত্যুর পর চক্ষুদানে আর কোন জটিলতা থাকবে না। মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে আইনানুগ কোন উত্তরাধিকারের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে অঙ্গ নেয়া যাবে। তাই মৃত্যুর পর শোককে এক মহৎ সেবায় পরিণত করতে সেই পরিবারের কোন উত্তরাধিকার চোখ সংগ্রহের অনুমতি দিতে এগিয়ে আসলে বাংলাদেশে কর্ণিয়া দান ও কর্ণিয়া সংযোজনে এক বিপ্লব ঘটে যেতে পারে।
সন্ধানী স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করেছে। আশা করি চোখদানকেও জনপ্রিয় করে তুলে বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠা করবে।
আমি সন্ধানী, সকল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সর্বস্তরের জনগণকে এই মানবিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। করোনা মহামারির সময় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অনুষ্ঠান পালনের জন্য অনুরোধ করছি।
আমি ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস ২০২০’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply